ভানুময় চন্দ ( ত্রিপুরা ) : আসামের কাঁঠালতলী থেকে নগাঁওয়ে পাচারের পথে পাথারকান্দির সোনাখিরা পুলিশের জালে ওয়াগনার বোঝা ই সাত লক্ষাধিক টাকার আগর কাঠের চিপস আটক। পলাতক পাচারকারিরা। কিছুদিন বিরতির পর ফের অসম - ত্রিপুরা রাজ্য সীমান্তের কাঁঠালতলি থেকে পাথারকান্দির নগাঁওয়ে পাচারের পথে প্রায় সাত লক্ষাধিক টাকা মূল্যের আগর কাঠের চিপস সমেত একটি নাম্বার বিহিন নতুন সাদা রংয়ের ওয়াগনার গাড়ি ধরা পড়ল স্থানীয় সোনাখিরা পুলিশের হাতে। রুটিন তল্লাশির সময় পুলিশ এই সাফল্য পেলেও চালক সহ এ কান্ডে জড়িতরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে জানা গেছে । পুলিশের হাত থেকে কিভাবে চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায় সেটা নিয়ে গুঞ্জন চলছে পুরো এলাকায়। পরে মাল সমেত গাড়িটি পাথারকান্দি থানার ওসি স্থানীয় রেঞ্জকর্তা দেবজ্যোতি নাথের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে খবর পাওয়া গেছে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে রেঞ্জকর্তা জানান আটক গাড়ি থেকে মোট বারোটি ব্যাগে প্রায় দেড় কুইন্টাল পরিমান আগর কাঠের চিপস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই চিপসগুলোর বাজার মুল্য কেজি প্রতি পাঁঁচ হাজার টাকা হলে প্রায় সাত লক্ষ টাকার মত হবে । তিনি আরও জানান , মাল সমেত গাড়িটি বন বিভাগ নিজ হেফাজতে রেখেছে। তা জেলা বন আধিকারিকের দরবারে দেওয়া হবে।। রুটিন তল্লাশিতে পাথারকান্দি থানাধীন সোনাখিরা চেকপোস্টের কর্তব্যরত পুলিশকর্মী কাঁঠালতলী থেকে পাথারকান্দি অভিমুখী নম্বরবিহীন একটি দ্রুতগামি সাদা ওয়াগনার গাড়িকে চ্যালেঞ্জ করে দাঁড় করালে পাচারকারিরা গাড়িটি রেখে চা বাগানের পথে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে চেকপোস্টের তরফ থেকে পাথারকান্দি থানার ইন্সপেক্টর ওসি তানবীর আহমদের উপস্থিতিতে আগরকাঠের চিপসগুলো স্থানীয় বনবিভাগের হাতে তুুুলে দেওয়া হয়। এদিকে বিশেষ একটি সূত্রের খবর , দীর্ঘদিন থেকে অসম - ত্রিপুরা রাজ্যের বৃহত্তর অংশে আগর চাষের রমরমা কারবার চলছে। সেখান থেকে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে সংগ্রহ করা আগরগুলো আসামের নগাঁও-এর লংকা-হোজাইতে সরবরাহ করা হয়। এই কাজে প্রায় তিন থেকে চারশ বহিরাগত যুবক বৃহত্তর কাঁঠালতলী এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে ।অবৈধভাবে পাচার হওয়া আগরগুলো থেকে বিভিন্ন দালালরা মোটা টাকা কামিয়ে নিলেও সরকার প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বলে অভিযোগ । সড়ক সহ রেল পথেও এসব সুগন্ধি আগর কাঠের চিপস পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এবার দেখার বিষয় আসাম পুলিশ এই চোরাকারবারীদের আটক করতে পারে কিনা।